বান্দরবনের একটি সুন্দর!! 02/09/2019


মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। বান্দরবান শহর থেকে মেঘলার দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। উঁচু নিচু পাহাড় পরিবেষ্টিত একটি কৃত্রিম লেককে ঘিরে সাজানো হয়েছে এই জায়গাটি। চারদিকের ঘন সবুজ, লেকের স্বচ্ছ পানি ও অপূর্ব প্রকৃতি পর্যটকদেরকে দূর্নিবার আকর্ষনে কাছে টানে। বৈচিত্র্য পিয়াসী মানুষ তাই আত্মিক ক্ষুধা মেটাতে মেঘলায় ছুটে আসে বারবার।

মেঘলায় লেকের উপর মনোমুগ্ধকর দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। এছাড়া চিত্তবিনোদনের জন্য আরো রয়েছে সাফারি পার্ক, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, ক্যাবল কার ও প্যাডেল বোট। এছাড়া পাহাড়ের চুঁড়ায় উঠে দেখতে পাবেন পাহাড়ীকন্যা বান্দরবানের নজরকাড়া প্রাকৃতিক দৃশ্য।মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি।

এখানে শুধু দিনের বেলা নয় রাতের বেলা রাত্রি যাপনের জন্যও রয়েছে অনেক সুযোগ-সুবিধা। এখানে জেলা প্রশাসনের রেস্ট হাউজটি দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া পাওয়া যায়। মেঘলা রেস্ট হাউজে রাত্রি যাপনের জন্য মোট চারটি কক্ষ রয়েছে। প্রতিদিনের জন্য একেকটি কক্ষের ভাড়া পড়বে ২০০০ টাকা।

বান্দরবানের মেঘলাতে পর্যটন করপোরেশনের একটি হোটেল আছে। এখানে যে কেউ থাকতে পারবেন। যে কেউ বুকিংয়ের জন্য ফোন করতে পারেন- ০৩৬১-৬২৭৪১ ও ০৩৬১-৬২৭৪২ নম্বরে। হোটেল ফোর স্টারে থাকতে গেলে সিঙ্গেল ভাড়া পড়বে ৩০০ টাকা, ডাবল ভাড়া ৬০০ টাকা, এসি ১২০০ টাকা। আর হোটেল থ্রি স্টারে নন-এসি ফ্ল্যাট ২৫০০ টাকা, এসি ফ্ল্যাট ৩০০০ টাকা। হোটেল প্লাজা বান্দরবানে সিঙ্গেল ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাবল ৮৫০ টাকা ও এসি ১২০০ টাকা ভাড়া পড়বে।

যে কেউ ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান যেতে পারেন ইউনিক, এস আলমসহ বেশ কয়েকটি বাসে। আর ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর সোজা বান্দরবানে যেতে পারেন। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী ও পূর্বাণী নামক দু’টি ডাইরেক্ট নন-এসি বাস ৩০ মিনিটি পরপর বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে যাওয়া যায় মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে।

Leave a Comment