ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে কমন প্রশ্ন এবং উত্তরঃ- 10/01/2018


প্রশ্নঃ ভিসা করার জন্য পূর্ব শর্ত কি?
উত্তরঃ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্টের মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস থাকতে হবে।

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়া কি কি ভিসা প্রদান করে?
উত্তরঃ ১) বিজনেস/ ব্যবসায়িক ভিসা ২) দীর্ঘমেয়াদী সফর ভিসা ৩) ট্রানজিট একক প্রবেশাধিকার ভিসা ৪) ট্রানজিট দ্বি-প্রবেশাধিকার ভিসা ৫) মেডিকেল/মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসা ৬) স্টুডেন্ট/শিক্ষার্থী ভিসা ৭) রিসার্চ/ গবেষণা ভিসা ৮) কনফারেন্স/ সম্মেলন ভিসা ৯) এমপ্লয়মেন্ট/ কর্মসংস্থান ভিসা ১০) ট্রেইনিং/ প্রশিক্ষণ ভিসা

সব ভিসার ব্যাপারে বিস্তারিত এখানে পাবেনঃ http://bit.ly/indiavisatype

প্রশ্নঃ ভিসার আবেদন করার আগে আমাকে কি কি কাজ সেরে রাখা ভাল?
উত্তরঃ ১) রঙ্গিন পোশাকে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে ২X২ সাইজের ছবি তুলবেন। ছবির সফট কপি এবং হার্ড কপি নিবেন।
২) ব্যাংক স্ট্যাট্মেন্ট বা ডলার এন্ডরসমেন্ট করে নিবেন। ব্যাংক স্ট্যাট্মেন্ট গত ৬ মাস থেকে ঐদিন পর্যন্ত নিবেন। ব্যাংকে এন্ডিং ব্যালেন্স মিনিমাম ২০ হাজার থাকতে হবে। আর যদি ডলার এন্ডরসমেন্ট করেন তাহলে মিনিমাম ১৫০ ডলার এন্ডরস করতে হবে। তবে বেশি করা ভাল।

প্রশ্নঃ অনলাইনে আবেদন করতে হয় কিভাবে?
উত্তরঃ https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/ এই সাইটে গিয়ে এপ্লাই অনলাইনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
সম্পূর্ণ প্রসেস দেখতে এই লিঙ্কে জানঃ http://bit.ly/indianvisaaplly
এই লিঙ্কের কিছু জিনিস পুরানো হয়ে গেছে সেগুলা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য নিচের প্রশ্ন এবং উত্তর গুলা দেখুন।

প্রশ্নঃ অনলাইনে আবদেন সাবমিট করার পর আমাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ সাবমিট করার পর আপনার এপ্লিকেশন আইডি আর গিভেন নেমটা সেভ করে রাখুন। সাবমিট করার পর Get Appointment বাটনে ক্লিক করে আপনার কাছের ভিসা সেন্টার অনুযায়ী এপয়েনমেন্ট নিন। সকাল.১১.৩০ থেকে ১২.০০ টায় চেস্টা করলে ঢাকার সেন্টার গুলার এপয়েনমেন্ট পাওয়া যায়। অন্য সেন্টার গুলাতে নরমালি যে কোন সময়েই পাওয়া যায়। ডেট পাওয়া হয়ে গেলে ফর্ম প্রিন্টের অপশন আসবে। প্রিন্ট করে নিন।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর এবং শ্যামলী ভিসা সেন্টারে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করলে এপয়েনমেন্ট লাগেনা। মেডিকেল ভিসার জন্যও এপয়েনমেন্ট প্রয়োজন নেই। নোটঃ শুধু গুলশান ভিসা সেন্টারে মেডিকেল ভিসা জমা দেওয়া যাবে।

প্রশ্নঃ ভিসা জমা দেওয়ার দিন আমাকে কি কি কাগজ নিয়ে যেতে হবে?
উত্তরঃ 
১) ভিসা আবেদন পত্র।
২) ভিসা আবেদনে ছবি লাগানো এবং ২টা স্বাক্ষর করা পাসপোর্টের মত।
৩) জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি। যেটা দিয়ে পাসপোর্ট করেছেন সেটাই দিবেন।
৪) ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ডলার এন্ডরসমেন্ট/ক্রেডিট কার্ড/ট্র্যাভেল কার্ড।
৫) ট্রেড লাইসেন্স/এন ও সি/ স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের কপি।
৬) আবেদনকারীর পাসপোর্টের ফটোকপি।
৭) ফ্যামিলি ভিসার ক্ষেত্রে (বাবা/মা, ভাই/বোন অবিবাহিত, স্বামী/স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে) যিনি পাসপোর্ট জমা দিতে আসবে তার পাসপোর্টের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
৮) পুরাতন পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্নঃ ভিসা ফী কত এবং কিভাবে জমা দিবো?
উত্তরঃ উত্তরা, গুলশান, মতিঝিল, শ্যামলী, চট্টগ্রাম, রাজশাহীঃ ৬০০ টাকা। সিলেট, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, যশোরঃ ৭০০ টাকা।
এখন অনলাইনে পেমেন্ট করতে হয় সব সেন্টারের জন্য।
আপনি আপনার যে কোন বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এবং কিছু ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টারকারড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন অনলাইনে। 
অনলাইনে পেমেন্ট করতে এখানে যাবেনঃ https://payment.ivacbd.com/
ভিসা জমা দেওয়ার আগের দিন বা যাওয়ার দিন টাকা জমা দিয়ে যাবেন অনলাইনে। টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে মোবাইলে একটি ম্যাসেজ পাবেন।

প্রশ্নঃ ভিসা সেন্টারে কি আমার কোন ভাইভা নিবে?
উত্তরঃ না। সকাল সকাল ভিসা সেন্টারে চলে যাবেন। গেলেই বাকি প্রসেস বুঝে যাবেন।

প্রশ্নঃ কতদিন লাগবে ভিসা পেতে?
উত্তরঃ নরমালি ৩-৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আবেদন জমা দেওয়ার পর একটা রিসিট দিবে সেখানে আপনার পাসপোর্ট কালেকশনের ডেট লেখা থাকবে।

প্রশ্নঃ আবেদন জমা দেওয়ার পর কি আমি জানতে পারবো কোনভাবে যে আমার ভিসা হয়েছে কিনা বা কি পর্যায়ে আছে আবেদন?
উত্তরঃ ভিসা হয়েছে কিনা সেটা পাসপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না। তবে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য রেডি আছে কিনা সেটা এখান থেকে দেখতে পারবেনঃ http://ivacbd-etoken.com/

প্রশ্নঃ কোন পোর্ট দিয়ে গেলে আমার জন্য ভাল হবে?
উত্তরঃ আপনি কোথায় যাবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন পোর্ট দিয়ে যাবেন। তবে বাই এয়ার, হরিদাসপুর/বেনাপোল, গেদে/ট্রেন দিয়ে সবাই যেতে আসতে পারবে। এই পোর্ট গুলা ছাড়া অন্য পোর্ট সিলেক্ট করবেন কারণ এসব দিয়ে আপনি যেতে পারবেন যে পোর্টই সিলেক্ট করেন না কেন। পোর্ট নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে এখানেঃ http://bit.ly/indianport

প্রশ্নঃ বাংলা কত টাকা নিয়ে যেতে পারবো এবং আনতে পারবো?
উত্তরঃ লিগালি ১০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে এবং আনতে পারবেন।

প্রশ্নঃ রুপি নিতে পারবো?
উত্তরঃ লিগালি রুপি নেওয়া যাবেনা।

প্রশ্নঃ ডি.এস.এল.আর নিলে কোন ঝামেলা হবে?
উত্তরঃ না। চাইলে বর্ডার থেকে ডি.এস.এল.আর পাসপোর্টে এন্ডরস করে নিতে পারবেন।

প্রশ্নঃ কত ডলার পর্যন্ত নিতে পারবো?
উত্তরঃ ভারতে ৫০০০ ডলার পর্যন্ত নিতে পারবেন ১ কেলেন্ডার ইয়ারে। তবে আপনি ২০০ ডলার এন্ডরস করে ৩০০ ডলার নিতে পারবেন না। ডলার এন্ড্রসমেন্টের খুঁটিনাটি জানতে এই পোস্ট দেখতে পারেনঃ http://bit.ly/dollarendorse

প্রশ্নঃ মেডিকেল ভিসার জন্য কি কি কাগজ লাগবে?
উত্তরঃ 
১.পূরণকৃত ফরম । 
২.ন্যাশানাল আইডি কার্ড বা জন্ম সনদ । 
৩.বর্তমান ঠিকানার ৬ মাসের মধ্যের বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের কপি। 
৪. ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে ডলার এনডোরসমেন্ট। 
৫.ইন্ডিয়ান ডাক্তারের এপোয়েন্টমেন্ট। 
৬.বাংলাদেশ ডাক্তারের রেফার লেটার। 
৭.সদ্য ৬ মাসের মধ্যে মেডিকেলের কাগজপত্র ফটোকপি। 
৮.পাসপোর্ট এর ফটোকপি। 
*সকল পুরাতন পাসপোর্ট ও মেডিকেলের মুলকাগজপত্র অবশ্যই সাথে আনতে হবে।
মাথায় যা প্রশ্ন আসছে লিখার চেস্টা করেছি। শুধু ভিসা রিলেটেড আরও কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন যেটা বাদ পরেছে। সেটার উত্তর জানা থাকলে লিখে দিবো।

কোন ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরে দিবেন।
ধন্যবাদ
হ্যাপি ট্র্যাভেলিং

Leave a Comment