সাজেক ভ্রমনঃ পুর্ণাঙ্গ ট্রাভেল গাইড 19/09/2017


সাজেক কিভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন ?

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের আঁধার আমাদের মাতৃভূমি রূপসী বাংলা । রূপের অপার সৌন্দর্যের সাঁজে সেজে আছে বাংলা মা । আমরা সৌন্দর্যের খোঁজে ছুটে বেড়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে । কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি আমাদের দেশের সৌন্দর্য তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয় । আমরা বিভিন্ন দেশের গ্রীন ভ্যালী দেখতে যাই কিন্তু ঢাকা থেকে মাত্র ৭/৮ ঘণ্টা গাড়ি পথে পার্বত্য অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার সাজেক ভ্যালী টা আমরা কজনই বা দেখেছি । হাতে দুই দিন সময় নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন এ সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য, যা আপনার সুন্দর একটি স্মৃতি হয়ে কল্পনায় গেঁথে থাকবে ।

খাগড়াছড়ি থেকে আপনি তিন মাধ্যমে সাজেক পৌছাতে পারবেন । চান্দের গাড়ী,সিএনজি এবং মটরসাইকেলে ।

সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো খাগড়াছড়ি শহর বা দীঘিনালা উপজেলা শহর থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসা । ভাড়া নিবে পুরাতন চান্দের গাড়ী ৫০০০-৬০০০ টাকা আর নতুন মাহিন্দ্রাগুলো ৭০০০-৮০০০ টাকা , এই টাকার মধ্যে আপনি যাবেন তারপর রাত কাটাবেন গাড়ী আবার আপনাকে নিয়ে আসবে বুঝা গেছে ব্যাপারটা ? । এক গাড়িতে গাড়ীর সাইজ অনুযায়ী দশ থেকে ১৫ জন বসতে পারবেন  ।


লোক কম হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি নিয়েও যেতে পারবেন । ভাড়া ৩০০০ টাকার মতো নিবে ।

এছাড়াও মটরসাইকেলে করে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা যেতে হবে তারপর সেখান থেকে মটরসাইকেলে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক মটরসাইকেলে ড্রাইভার সহ তিনজন বসতে পারবেন ভাড়া আসা যাওয়া রিজার্ভ ১০০০-১২০০ টাকা (দামদর করে নিবেন কম বেশি হতে পারে) । । বাসে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা জন প্রতি ৪৫ টাকা নিবে । দীঘিনালা থেকে ১০০০-১২০০ টাকায় মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিয়েও সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন ।

 

দূর থেকে সাজেক বিডিআর ক্যাম্প.....

 
বলে রাখা ভাল.... মূলতঃ বাংলাদেশের এই অঞ্চলের সীমান্ত প্রহরাবিহীন বা বলতে পারেন উন্মুক্ত। ইন্ডিয়া অংশেও তাই। সাজেক বিডিআর বিওপি হতে পূর্বদিকে মিজোরাম বর্ডারের দূরত্ব একদিনের হাঁটা পথ, আর উত্তরের ত্রিপুরা সীমান্ত যেতে আপনাকে হাঁটতে হবে পুরা তিন দিন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড় আর গহীন অরণ্যে ঘেরা এই সীমান্ত রেখা প্রাকৃতিকভাবেই সুরক্ষিত বলতে পারেন।

 

কুয়াশায় ঢাকা পাহাড় আর অরণ্যে ঘেরা সাজেক।

সাজেক আর্মি ক্যাম্পের কাছাকাছি পাহাড়ী আদিবাসীদের দু'টি পাড়া আছে... রুই লুই এবং কংলাক। সাজেক পয়েন্টে যাবার একটু আগেই পরবে রুই লুই পাড়া। এই পাড়াটির উচ্চতা ১৭২০ ফুট। এটি ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠী পাংখোয়া-দের বসতি। রাস্তার দু'ধারেই ঘর রয়েছে। চা খাওয়ার ছোট্ট দোকান রয়েছে। পাহাড়ী মেয়েরা হাতে টানা তাঁতে কাপড় বুনাচ্ছে অথবা কেউবা মোটা বাঁশের পাইপে তামুক খাচ্ছে। পাহাড়ী জনপদের জীবন-যাত্রা দেখতে আপনার ভাল লাগবে। তবে এখানেও যে যন্ত্রের ছোয়া লাগেনি, তা নয়! ডিজেল ইঞ্জিনে ধান ভাঙ্গানো দেখে আপনি হয়তো বলবেন.... পাহাড়ের এই শান্ত পরিবেশে এইসব উটকো ঘড়ঘড় যন্ত্র বড্ড বেমানান!

 

সিজুক বা তৈদুছড়ার ঝরনাগুলো দেখতে আপনাকে প্রথমেই দিঘীনালা যেতে হবে সেখান থেকে গাইড নিয়ে তারপর ঝরনাগুলোতে যেতে হবে । চাঁন্দের গাড়ীর প্রয়োজন হতে পারে সেই গাড়ী আপনাকে সাজেক যাবার দিকের রাস্তার দিকে নিয়ে যাবে তারপর এক জায়গায় নামিয়ে দিবে সেখান থেকে আপানকে ট্রেকিং করে ঝরনাতে যেতে হবে ,প্রায় এক দেড় ঘন্টা লাগতে পারে সিজুক ১ ঝরনাতে পৌছাতে সেখান থেকে আধাঘন্টার মতো ট্রেক করলেই পেয়ে যাবেন সিজুক ২ ঝরনাটি । তারপর আবার গাড়ীর কাছে ফিরে এসে আপনাদের প্লানমতো হয়তো সাজেকে চলে যেতে পারেন অথবা দিঘীনালা বা খাগড়াছড়ি ফিরে যেতে পারেন ।।

ঢাকায় ফেরা

সাজেক ফেলে আসতে চাইবেনা আপনার প্রকৃতি প্রেমিক মন। অপরূপ এই পাহাড়ী প্রকৃতির স্মৃতি আপনাকে বারবার পিছে টানবে।


 

এছাড়া সাজেকে গ্রুপ, কর্পোরেট ইভেন্ট এর জন্য সরাসরি আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
ট্রাভেল রিলেটেড যেকোন কিছু জানতে বা আমাদের গ্রুপে ভ্রমণ করতে TripSilo এর ফেইসবুক গ্রুপেও যোগ দিতে পারেন । 
আমাদের ঠিকানাঃ হাউজঃ৫৭/এ, রোডঃ০৫, ওল্ড ডি.ও.এইছ.এস , বনানী, ১২০৬ ঢাকা, বাংলাদেশ।
যোগাযোগঃ(+৮৮) ০৯৬৭৮ ১১১ ৯৯৯, ০১৮৭৩-১১১-৮৮৮,০১৮৭৩-১১১-৯৯৯, 
হাউজঃ ৫৭/এ, রোডঃ ০৫, ওল্ড ডি.ও.এইছ.এস , বনানী, ঢাকা-১২০৬,বাংলাদেশ ।

Facebook Page:www.facebook.com/tripsilo
www.tripsilo.com

Leave a Comment