বাই রোডে ভূটান ভ্রমণের সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর 24/08/2017


ছবির মত সাজানো দেশ বললেও হয়ত কম বলা হয়ে যায় ভুটান সম্পর্কে। সে কারণেই আমাদের দেশের মানুষদের ভুটান ভ্রমণের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগ্রহের বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে কৌতূহল এবং প্রশ্নের সংখ্যা। সেরকম সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর একসাথে লেখলাম আমাদের ভুটান ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে। 
#ভিসা_সংক্রান্ত
** #ভাই_ইন্ডিয়ার_ভিসা_লাগবে_নাকি ???
আপনি যদি বাই রোড ভুটান যেতে চান তাহলে আপনার ইন্ডিয়ার ভিসা দরকার হবে যার বৈশিষ্ট হবে ট্রান্সিট ভিসা (ইন্ডিয়ার স্থলপথ ব্যাবহারের অনুমতি)। বাই এয়ার গেলে ইন্ডিয়ার ভিসা দরকার লাগবেনা। 
** ভাই আমার ইন্ডিয়ার ভিসা আছে সেক্ষেত্রে আমি কি করবো ??? 
আপনিও যেতে পারবেন। তবে আপনাকেও ট্রান্সিট ভিসা নিতে হবে নতুন করে। সেক্ষেত্রে আপনার পুরনো ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। 
** #ভুটানের_ভিসা_কোথা_থেকে_নিতে_হয় ???
ভুটানের ভিসা অন আরাইভাল। আপনি বাই রোড গেলে ভুটান গেটের পাশের ইমিগ্রেসন অফিস থেকে ভিসা নিতে হবে আর বাই এয়ার গেলে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেসন থেকে নিতে হবে। 
** #ভুটানের_ভিসা_কতদিনের_দেয় ??? 
ভুটানে ঢোকার সময় থিম্পু এবং পারো ভ্রমণের জন্য সাত দিনের ভিসা দেয়। আপনি আরও বেশী দিন থাকতে চাইলে থিম্পু থেকে বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকবে। উল্লেখ্য, থিম্পু এবং পারো ছাড়া অন্য কোথাও যেতে চাইলে তার জন্য আলাদা অনুমতি দরকার হয় যেটা থিম্পু ইমিগ্রেসন অফিস থেকে নিতে হবে। 
এইতো গেলো ভিসা সংক্রান্ত কথা। এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে - 
** বাই রোড যাওয়া কি ভালো হবে ??? এত লম্বা জার্নি !!!!!!! 
ভুটান বর্ডার থেকে থিম্পু যেতে সময় লাগে ৫-৬ ঘণ্টা। পাহাড়ি রাস্তার উঁচু- নিচুতে যাদের সমস্যা হয় তাদের জন্য সামান্য কষ্ট হলেও রাস্তার যে ভিউ বা অনুভূতি পাবেন তা পুরো ট্রিপের বাড়তি পাওনা হিসাবে পাবেন। আর লম্বা জার্নিকে ছোট করতে চাইলে ভুটান বর্ডার (ফুন্তসলিং)/ জয়গাতে একরাত বিশ্রাম নিয়ে পরদিন থেকে যাত্রা শুরু করতে পারেন। তাহলে যাত্রাপথের ধকল এড়াতে পারবেন খুব সহজেই। 
**#ভুটানে_নাকি_অনেক_খরচ ????!!!!!!!! 
কথাটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুল। প্রায় সব জায়গাতেই খরচ কমানোর বেবস্থা আছে। হোটেল খরচ, খাওয়া খরচ সব জায়গাতেই। হোটেল কম দামি যেমন আছে ,বেশী দামিও আছে। আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার ব্যাপার। খাবার খরচ তুলনামুলক ভাবে কম সেখানে। বিফ/চিকেন ফ্রাইড রাইস (৮০-১০০রুপি) দিয়ে ভরপেট খাওয়ার কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। আর সেখানকার রান্নার ধাঁচের কারণে আপনি বেশী খেতেও পারবেন না। 
**#ভুটানে_দেখার_কি_আছে ???
ভুটানে আসলে আলাদা করে দেখার কিছু নাই। টুরিস্ট স্পটগুলো আপনার কাছে মনে হতে পারে সব একই রকম। কিন্তু পুরো ভুটানটাই হচ্ছে দেখার মত। ভুটান গেট পার হবার পরেই আপনার মনে হবে আপনি হয়তো অন্য কোথাও চলে এসেছেন। ভ্রমণপ্রেমী মানুষের কাছে এখানকার প্রতিটা মুহূর্তই মনে হবে উপভোগ্য । 
** #খরচ_কমানোর_কিছু_উপায়_বলেন !!!!! 
থাকা-খাওয়ার মূল্য কমানোর তরিকা উপরে বলাই আছে। বাকি থাকল একটা অভ্যন্তরীণ যাতায়াত যেটা দিয়ে খরচ আরও কিছুটা কমানো যাবে। আপনি যদি একা যান তাহলে সেখানকার অভ্যন্তরীণ বাস সার্ভিস ব্যাবহার করতে পারেন। তবে সেখত্রে একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন। এরা খুবই সময় সচেতন। বাসের টিকিট আগের দিন কেটে রাখলে ভালো হবে। নচেৎ বাস মিস করার সম্ভাবনা থাকবে।
আর যারা গ্রুপ করে যাবেন তারা ৪ এর গুনিতক সদস্য মিলিয়ে যেতে পারেন। তাহলে ট্যাক্সি খরচের সঠিক এবং সর্বচ্চ ব্যাবহার পাবেন। 
কিছু খুচরা টিপস -
১। ভুটানিরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ তাই তাদের সাথে ভালো আচরণ করবেন এবং আপনাকে বিনা স্বার্থেই তারা সাহায্য করবে। 
২। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এরা খুব তারাতারি ঘুমিয়ে পরে এবং ঘুম থেকে ওঠেও বেলা করে তাই আপনার সকাল সকাল বের হবার পরিকল্পনা থাকলে আগের দিনই প্রয়োজনীয় বেবস্থা নিয়ে রাখুন। 
৩। আপনার কাছে গুগল ম্যাপের সহযোগিতা থাকলে আসেপাশের জায়গা গুলো পায়ে হেঁটে ঘোরার চেষ্টা করুন। টাকা বাঁচানোর পাশাপাশি কিছু অদ্ভুত সুন্দর কিছু সময়ের সাক্ষী হতে পারবেন। 
৪। ট্যাক্সি এবং হোটেল দামাদামি করে নিবেন অবশ্যই।
৫। ভুটানিরা খুবই ঢিলেঢালা জাতি। তাড়াহুড়া করলে তারা ক্ষিপ্ত হয় তাই যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে আপনার কাজে নামুন। 
৬। আপনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন পারলে সেটা শেয়ার করুন। বাংলাদেশীদেরকে তারা পছন্দ করে। 
৭। একজন পর্যটক ও একজন বাংলাদেশী হিসাবে তাদের দেশকে অহেতুক নোংরা করা থেকে বিরত থাকুন। 
কার্টেসিঃ ইফতেসাম বিকাশ

মাত্র ৯,৯৯৯ টাকাতে বাই রডে ভূটান ভ্রমনের জন্যে Trip Silo -এর প্যাকেজ জন্যে ক্লিক করতে পারেন।
আরও কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। সাধ্যমত চেষ্টা করব সাহায্য করার।
যেকোন প্রয়োজনেঃ ০১৬৮৯৭৭৭৪৪৪, ০১৮৭৩১১১৯৯৯

Leave a Comment