স্বপ্নের রাজপুরী লাদাখ 05/03/2018


লাদাখ মানেই, চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক রঙিন পাহাড়ি উপত্যকার ছবি। ঘন নীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা রংবেরঙের পাহাড়, ভেসে চলা সাদা মেঘের সারি, নীলকান্ত মণির মতো ঘন নীল সরোবর। এক বিস্তীর্ণ শীতল পাহাড়ি উপত্যকা। আর সেই নিঃশব্দ উপত্যকা দিয়ে বয়ে যায় এক সুরেলা বাঁশির আওয়াজ। দিগন্ত থেকে দিগন্তে প্রার্থনা-পতাকা ছুঁয়ে উড়ে যায় শান্তির বাতাস। সর্বত্র গৌতমবুদ্ধের বাণীকে আদর্শ করে বেঁচে থাকা মানুষজন। সব মিলিয়ে এক অন্য পৃথিবী। লাদাখের সঙ্গে মিল আছে পাশ্ববর্তী দেশ তিব্বতের। তাই লাদাখকে বলা হয়, ‘The little Tibet’। আবার অনেকে বলেন, The lost Shangir la বা  The land of Moon

লে, লাদাখের প্রধান শহর। রূপকথার রাজপুরী লে-কে বলা হয়, The hermit kingdom। সিন্ধু নদের তীরে এক বিস্তীর্ণ উপত্যকা নিয়ে লে শহরের অবস্থান।যার চারদিকে ঘিরে রয়েছে সুউচ্চ গিরিশিরা। লাদাখ মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত -‍ গ্রেট হিমালয় গিরিশিরা, জাঁসকার গিরিশিরা, মধ্যে রয়েছে সিন্ধু উপত্যকা, যেখানে লে শহরের অবস্থান। এই মধ্যবর্তী অঞ্চলই লাদাখের মূল অঞ্চল।

উত্তরে লাদাখ গিরিশিরা ও কারাকোরাম গিরিশিরার মধ্যে রয়েছে নুব্রা উপত্যকা। একযাত্রায় সমগ্র লাদাখ ভ্রমণ প্রায় অসম্ভব। একদিকে লে শহর, আশপাশের বিখ্যাত মনেস্ট্রি ভবন, প্যাংগং সো আর সো-মোরারি দর্শন। আর একদিকে নুব্রা উপত্যকা ও সিয়খ উপত্যকা ভ্রমণ, অর্থাৎ পানামিক, ডেসকিট ও হুন্ডার দর্শন। অন্যদিকে কার্গিল, দ্রাস, জাঁসকার উপত্যকা অর্থাৎ পদম দর্শন।

লে শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে লে প্রাসাদ। সপ্তদশ শতাব্দীতে সেনগে নামগিয়াল নয়তলাবিশিষ্ট এই প্রাসাদটি তৈরি করেন। তৈরি হয় তিব্বতের পোটালা প্যালেসের অনুকরণে। এখান থেকে নিচে লে শহরটিকে অসাধারণ লাগে। শহরের যে কোনও প্রান্ত থেকে প্যালেসটি দেখা যায়। প্যালেসের একটু উপরে রয়েছে নামগিয়াল মনেস্ট্রি। মনেস্ট্রি ছুঁয়ে রয়েছে সারি সারি প্রার্থনা-পতাকা। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, এই প্রার্থনা-পতাকা ছুঁয়ে বাতাস যখন শহরে প্রবেশ করে, তা অপদেবতার হাত থেকে রক্ষা করে।

লাদাখ হল গৌতমবুদ্ধ‍ের দেশ। সমগ্র লাদাখ জুড়ে আছে অসংখ্য প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ গুম্ফা। পথের ধারে, গ্রামের মধ্যে, পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে মণিপাথরের স্তূপ, চোরতেন, প্রার্থনা-পতাকা। মণিপাথরে লেখা রয়েছে, ‘ওম্ মণিপদ্মে হুম’ বাণী। প্রায় সর্বত্রই চোখে পড়ে গৌতমবুদ্ধের উদ্দেশে প্রার্থনারত ধর্মচক্র ঘোরানো মানুষ। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই বুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত।

লে শহরের চারদিকে এখন সবুজ উইলো আর পপলার গাছের ছড়াছড়ি। তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। শহরের বাজারে নেমে এলে চোখে পড়বে, আশপাশের গ্রাম থেকে আসা মানুষজন আর তাদের স্মৃতিমেদুর চাহনি। রাস্তার দু’পাশে সবজির পসরা সজিয়ে বসা মানুষজন। দোকানে দোকানে রয়েছে ধর্মচক্র (Buddhist Prayer Wheels), বৌদ্ধ মূর্তি, রঙিন মুখোশ। লে শহরে আছে অসংখ্য হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট। প্রায় সমস্ত উপকরণ পাওয়া যায় এখানে। রয়েছে সাইবার কাফে আর ইন্টারনেট পার্লার। আজকের সাইবার যুগেও সময় যেন এখানে থেমে রয়েছে। ব্যস্ততা নেই, আছেন শান্তিপ্রিয় মানুষ আর তাঁদের সদাহাস্যময় মুখ।

লে বাজারের মধ্যে রয়েছে সোমা মনেস্ট্রি। প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বরের ১-৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় লাদাখ ফেস্টিভ্যাল। তখন এই মনেস্ট্রিতে বিখ্যাত মুখোশ নৃত্য ও আরও অন্যান্য অনুষ্ঠান চলে। বাজারের মধ্যেই রয়েছে সুন্নি মুসলিমদের মসজিদ। লে-তে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মানুষ ছাড়াও অছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। পাশাপাশি এক শান্তিপূর্ণ সহবস্থান। লে শহরেই আছে শংকর গুম্ফা। এটি মূলত ‘Red Hat’ লামাদের অন্তর্ভুক্ত। লে শহরের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হল, শান্তিস্তূপ। ১৯৮৫ সালে জাপানিরা এটি তৈরি করেন। এখান থেকে লে শহরটিকে অসাধারণ লাগে। লে প্যালেসের ঠিক নিচেই রয়েছে পোলো খেলার মাঠ আর তার পাশে আছে ডিস্ট্রিক্ট কমিশনারের দফতর।

মনেস্ট্রি দর্শন

লে-র আশেপাশে যে বিখ্যাত মনেস্ট্রিগুলো আছে, গাড়ি ভাড়া করে তা একদিনেই দেখা যায়। বাসেও যাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে বাসের টাইম টেবিল দেখে ভ্রমণসূচি ঠিক করতে হবে।

থিকসে মনেস্ট্রি

লাদাখে আধুনিক স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন হল থিকসে মনেস্ট্রি। রাজা পালদান সার্ব এই গুম্ফার প্রতিষ্ঠা করেন। ১২ তলা এই গুম্ফা জুড়ে আছে অসংখ্য স্তূপ, থাংকা, দেওয়ালচিত্র ও মূল্যবান পুঁথি। এই গুম্ফাটি গেলুক-পা সম্প্রদায়ভুক্ত। মূল প্রার্থনা ঘরে প্রায় ১৫ মিটার দীর্ঘ গৌতমবুদ্ধের মৈত্রেয় মূর্তি রয়েছে। তাঁর স্মিতহাস্যমুখ ও আশীর্বাদ প্রত্যেক লাদাখবাসীর হৃদয়ে।রয়েছে দুঃখাং বা প্রার্থনা ঘর। সেখানে বসে লামারা সাধনা করেন, করেন ভক্তির আরাধনা।

হেমিস মনেস্ট্রি

লাদাখে সবচেয়ে বড় গুম্ফা হল হেমিস। ১৬৩০ সালে এটি তৈরি হয়। এটি রেড হ্যাট লামা, ব্রোক-পা’দের অন্তর্ভুক্ত। গুম্ফাতে রয়েছে বহু প্রাচীন তিব্বতীয় পুঁথি। যা থেকে জানা যায়, ‘Unknown life history of Jesus Christ’। রয়েছে অসংখ্য দেওয়ালচিত্র। ভগবান বুদ্ধের জীবনের নানা ঘটনার বর্ণনা আঁকা রয়েছে। লে শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে।

শেই প্যালেস

লে থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে শেই প্যালেস। এটি হল রাজ পরিবারের সামার প্যালেস। প্রথম লাদাখি রাজার তৈরি। যদিও প্যালেসের ভেতর রয়েছে শেই গুম্ফা। গুম্ফাতে আছে শাক্যমুনি বুদ্ধের ১২ ফুট দীর্ঘ মূর্তি।

স্টোক মনেস্ট্রি

লে শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গুম্ফাটি। ১৪০০ শতাব্দীতে লামা লাওয়াং লোটাস এই গুম্ফার প্রতিষ্ঠাতা। এটি ইয়েলো হ্যাট সম্প্রদায় পরিচালিত। স্টোক মনেস্ট্রির অন্যতম আকর্ষণ এর নিজস্ব গ্রন্থশালা। এখানেই আছে বৌদ্ধ গ্রন্থ খণ্ডসুর-এর সমস্ত খণ্ড। ১০৮টি। কিছু দিন আগেই অবলোকিতেশ্বর-এর এক নতুন মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। এখানকার মূর্তির বৈশিষ্ট্য, হাজার হাত ও এগারোটি মাথা। তিব্বতীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, মাসের নবম ও দশম দিনে এখানে মুখোশ নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। এখন এখানে কুড়ি জন লামা থাকেন।

নীল সরোবরের হাতছানি

লাদাখের দুটি বিখ্যাত সরোবর হল, প্যাংগং সো আর সো-মোরারি। তিব্বতি ভাষায়, সো মানে সরোবর। নির্দিষ্ট কিছুদিনে বাস ছাড়ে কোরজক বা প্যাংগং সো-র পথে। কিন্তু বাস নয়, এপথে ছোট গাড়ি ভাড়া করাই ভাল। ছোট গাড়িতে চার থেকে পাঁচ জন নেয়। ভাড়া মোটামুটি নির্দিষ্ট, সিন্ডিকেটের নিয়ম অনুসারে। তবে কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়।

প্যাংগং সো

লে থেকে প্যাংগং সো সরোবরের দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। একদিন নয়, দু’দিন রাখা উচিত প্যাংগং সো-র জন্য। কারু থেকে রাস্তা বেঁকে গিয়েছে এই পথে। পথে পড়ে শক্তি গ্রাম। গ্রামের সবুজ খেত, ধারাবাহিক রুক্ষতার মধ্যে চোখকে আরাম দেয়। একটানা চড়াই পথে গাড়ি উঠে আসে লাদাখ গিরিশিরার উপরে অবস্থিত চায়লাতে। পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ মোটর পথ। উচ্চতা ৬,৪৭৮ মিটার। এখানে সেনাবাহিনীর একটি মেডিকেল চেক-আপ ইউনিট রয়েছে। এপথে সর্বত্র সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। তারপর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে পৌঁছই দুরবুক নালার ধারে তাংসে। একটি ছোট্ট জনপদ। এখানে হোটেল আছে। লুকং চেকপোস্ট হয়ে পৌঁছে যাই ৪,৫৩৫ মিটার উচ্চতার প্যাংগং সরোবরে। জলের রং তীব্র নীলাভ। সরোবরের জলের রং, বিশালতায় আমরা মুগ্ধ, অনন্দে অত্মহারা। চারিদিকে রুক্ষ রংবেরঙের পাহাড়ের মধ্যে সুতীব্র নীল জলরাশি জীবনের সব স্বপ্নকে সত্যি করে হাজির করে, যা না দেখলে জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্যাংগং সো-র বিস্তৃতি প্যাংগং গিরিশিরা ও চ্যাংচেনমো গিরিশিরার মধ্যে। লম্বায় প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার, চওড়া ২ থেকে ৪ কিলোমিটার। এর তিন ভাগের এক ভাগ ভারতে, বাকিটা আকসাই চিনে। সরোবরের ধার ধরে একটি পথ চলে গেছে স্পাঙ্গমিক গ্রামে। সরোবরের ধারে একমাত্র গ্রাম। গুটিকয়েক ঘরবাড়ি, থাকার জন্য গেস্ট হাউস আর সামান্য চাষবাস হয়। এখানে মূলত চাংপারা বসবাস করেন। সরোবরের জলের রং দিনের বিভিন্ন সময় পাল্টায়। কখনও তীব্র নীল, কখনও তুঁতের মতো, কখনও সবুজ, কখনও কালচে নীল। সব মিলিয়ে কল্পনার রঙিন ক্যানভাস। পূর্ণিমার রাতে প্যাংগং সো-র ধারে রাত কাটানো এক বিরল অভিঞ্জতা। পরের দিন সকালটা সরোবরের ধারে কাটিয়ে ফিরে চলা একই পথে। এবারের গন্তব্য আর একটি লেক। নাম, সো-মোরারি।

লে থেকে উপসি হয়ে রাস্তা গিয়েছে রূপসুর পথে। সিন্ধু নদের ধার ধরে পথ চলে আসে পূর্ব দিকে। মাঝেমধ্যে ছোট ছোট গ্রাম। বাদামি, সোনালি রঙের পাহাড়ের মধ্যে কোথাও একটুকরো সবুজ খেত, কোথাও সোনালি ফসল-যেন এক একটা মরুদ্যান। পথে পড়ে উষ্ণ প্রস্রবণ।

সুমদো গ্রামের পর থেকে অসম্ভব সুন্দর পথ। বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত খোলা প্রান্তরের মধ্যে দিয়ে গাড়ি ছুটে চলেছে। আকাশের রঙ ঘন নীল। সেই নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায় সাদা সাদা মেঘ, মেঘের পক্ষীরাজ। চারপাশের পাহাড় অনেক বেশি রঙিন। দূরে পাহাড়ের চূড়ায় বরফ। বিকেলবেলা পৌঁছে যাই সো-মোরারির তীরে একমাত্র গ্রাম কোরজোক-এ। উচ্চতা ৪,৫৭২ মিটার। লে থেকে দূরত্ব ২২০ কিলোমিটার। সময় লাগে ৮ ঘণ্টা। থাকার জন্য আছে গেস্ট হাউস আর তাঁবু হোটেল। সামনে সো-মোরারির ঘন নীল জলরাশি, গ্রামের সবুজ খেত। কোরজোকে ফু নদী এসে পড়েছে সো-মোরারিতে। এই গ্রামেও চাংপাদের বাস। রয়েছে মাতা শৃঙ্গ। গুম্ফার উপর থেকে গ্রামের ঘরবাড়ি, খেত, সো-মোরারির পূর্ববর্তী তীরে রয়েছে লামসের কাংরি (৬,৬৬৬ মিটার) ও চামসের কাংরি (৬,৬২২ মিটার)।

সো-মোরারির রূপ আকণ্ঠ পান করে এবার ফিরে চলা। লে নয়, যাব মানালি। সুমদো গ্রাম থেকে পোলোকাং লা হয়ে পথ নেমে গিয়েছে সো-কারে। এটিও একটি লবণাক্ত হ্রদ। ক্রমশ এই হ্রদ সংকুচিত হচ্ছে। এখান থেকে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে উঠে আসি লে-মানালি হাইওয়ের মোরস প্লেন-এ। সেখান থেকে পাং, সার্চু, বারালাচা পাস, দারচা, কেলং, রোটাং হয়ে মানালি। পথে কেলং-এ রাত্রিবাস।

ফিরে আসি চেনা শহর কলকাতায়। শুনতে পাই ট্রামের ঘন্টি, রিকশাওয়ালার ভেঁপু বা ফেরিওয়ালার ডাক। অর চোখ বুজলেই দেখতে পাই দিগন্ত থেকে দিগন্তে ঘোড়ায় চড়ে ছুটে চলা চাংপাদের দল। সরোবরের ধারে নমকিন চায়ের আসর থেকে উঠে আসা ধোঁয়া, নীল সরোবরের বুকে ভেসে থাকা দিন-রাতের আলো-অন্ধকার। রুক্ষ পাহাড়ের কোলে বেঁচে থাকা এক কিশোরীর হাতে একটুকরো ফুল, এক বৃদ্ধার হাতে ঘুরে যাওয়া জীবনের ধর্মচক্র, নীল আকাশের বুকে উড়ে যাওয়া শান্তিপতাকার হাওয়া, আকাশের কোণে ফুটে থাকা এক সন্ধ্যাতারা। সব মিলিয়ে বেঁচে থাকে রূপসী লাদাখের রূপকথা।

প্রয়োজনীয় তথ্য

লাদাখ যাবার উপযুক্ত সময় হল, জুনের গোড়া থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, কারণ এইসময় এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে। এই সময় এটি স্বর্গোদ্যান হয়ে ওঠে। অন্য সময় যেতে হবে বিমানে। লাদাখ গাড়িপথে দু’ভাবে যাওয়া যায়। মানালি থেকে লে দু’দিনের পথ। রাত্রিবাস কেলং বা পাং। পথে পড়বে পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ মোটর পথ তাংলাং লা (৫,৩৫৯ মিটার)। অন্যপথে শ্রীনগর হয়ে কার্গিল হয়ে লে। পথে পড়বে জোজিলা পাস। দিল্লি থেকে বিমানে লে সারাবছর যাওয়া যায়।

এই রুটের প্যাকেজ সূমুহ ও যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ :

Office Address:
Trip Silo Office Adress: House # 477 (2nd Floor), Road # 32, New DOHS, Mohakhali. Dhaka # 1206.
Contact Number: 01689777444 , 01873111999
Office: +88 09678 111 999
Facebook Page: facebook.com/tripsilo/

www.tripsilo.com

Leave a Comment