বালিয়াটি জমিদার বাড়ি 04/11/2019


একদিনের ডে ট্যুরে চাইলে আপনিও ঘুরে আস্তে পারেন ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মানিকগঞ্জ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান বালিয়াটি জমিদার বাড়ি থেকে।বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমিদার বাড়িগুলোর মধ্যে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অন্যতম । বালিয়াটি জমিদার বাড়িতে রয়েছে মোট সাতটি দালান যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ২০০টি কক্ষ। ৫.৮৮ একর জমির উপর বাড়িটি অবস্থিত।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন গোবিন্দ রাম সাহা। তিনি ছিলেন একজন লবণ ব্যবসায়ী। এই প্রাসাদের সামনের বাড়িগুলো ব্যবহার করা হত ব্যবসায়িক কাজে আর পেছনের দিকের প্রাসাদগুলো ছিল অন্দরমহল। আঠার শতকের শেষদিকে শুরু হওয়া এই জমিদারি ছিল ভারত-পাকিস্তান ভাগ হবার সময় পর্যন্ত। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বালিয়াটি প্রাসাদ অধিগ্রহণ করে এবং তখন থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এটি পরিচালিত হয়। ঢাকার জগন্নাথ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কিশোরী লাল রায় এই পরিবারের বংশধর।

মূল প্রাসাদে রয়েছে একটি যাদুঘর যেখানে জমিদারদের ব্যবহারিক আসবাবপত্রের পাশাপাশি রয়েছে কারুকার্য বিশিষ্ট কিছু জিনিসপত্র । প্রাসাদের চারপাশে সুউচ্চ দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত। প্রাসাদে রয়েছে তিনটি প্রবেশপথ যার প্রত্যেকটিতে আছে খিলান আকৃতির সিংহ খোদাই করা তোরণ।
বাড়ির সামনে এবং ভিতরে রয়েছে বড় বড় দুটি পুকুর। বাইরের পুকুরটিতে মানুষজন দলবেঁধে গোসল করছে। প্রাসাদের সামনের পিলারগুলো সবসময় আমাকে আকর্ষণ করে। মোটা লম্বা লম্বা সারিবাঁধা পিলারগুলো জমিদারদের বৃহত্বের কথা, বিশালতার কথা মনে করিয়ে দেয়।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি।

#কীভাবে_যাবেন???
নরসিংদী থেকে বাস যুগে পিপিএল, বাদশা, তিতাস সহবেশ কয়েকটি বাসে করে যেতে পারবেন আবদুলাপুর। আবদুলাপুর থেকে পয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত জমিদারি বাড়িটি । আমাদের নরসিংদী সদর থেকে আসা যাওয়া বাবদ জনপ্রতি হয়েছে ২৪০টাকা।

সর্তকতাঃ জমিদার বাড়িটি সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার এবং অর্ধবন্ধ সোমবার। বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি মাত্র ২০ টাকা। বাড়িটির ভেতরে যেখানে সেখানে খাবার প্যাকেট, কোকের বোলত, সিগারেট খেয়ে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। প্রাসাদের বিতরে অনেক গুলো ডাস্টবিন আছে তা নিদিষ্ট জায়গায় ফেলবেন। সেখানে অনেক বাগান আছে তাই দয়া করে ফুল ছিড়বেন না।ঐতিহাসিক স্পটগুলোর পাশাপাশি নিজের এলাকায় রাস্তাঘাটকেও আর্বজনা মুক্ত রাখুন ও যত্ন নিন।


 

Leave a Comment