কম খরচে শিমুল বাগান ঘুরে আসার ট্রিপ প্লান 29/01/2018


 

রাতের ট্রেনে (৯.৫০ এ ছাড়ে ) কমলাপুর থেকে চলে যাবেন সিলেট। শোভন চেয়ার ভাড়া নিবে ৩২০ টাকা। সিট পেতে হলে অবশ্যই কস্ট করে ২-১ দিন আগে যেয়ে টিকেট কেটে আনতে হবে। অনলাইনেও সম্ভবত কাটা যায়। ভোর বেলা নামিয়ে দিবে সিলেট। একটা রিকশা নিয়ে (ভাড়া ৩০ টাকা) ক্বীন ব্রীজ ক্রস করে পানসী/পাচ ভাই / ভোজনবাড়ি (এক ই জায়গায় অবস্থিত) রেস্টুরেন্টে প্রাতরাশ সেরে ভরপেট মজাদার নাস্তা খাবেন। আরেকটা রিকশা নিয়ে চলে যাবেন আম্বরখানা। রেস্টুরেন্ট থেকে নিবে ১৫ টাকা। আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সুনামগঞ্জ এর বাস যেখান থেকে ছাড়ে সে পর্যন্ত শেয়ারে সি এন জি যায় । ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা। বাসস্ট্যান্ড এর জায়গার নাম কুমারগাও। সি এন জি থেকে নেমে হাতের ডানে টিকেট কাউন্টার আছে সুনামগঞ্জ গামী বিরতিহীন বাসের। ভাড়া ৯০ টাকা। সময় লাগবে দেড় থেকে ২ ঘন্টা। সুনামগঞ্জ নেমে নতুন ব্রীজের ওই পাড়ে মোটরবাইক দাঁড়িয়ে থাকে অনেক। কথা বলে বারেক টিলা নদীর এই পাড় পর্যন্ত ভাড়া নিবে ২০০ টাকা।( দামাদামি করে ১৫০ তেও নাকি যাওয়া সম্ভব!) একটাতে ২ জন চড়া যায়। জনপ্রতি তাহলে পরল ১০০ করে। জাদুকাটা নদীর সামনে নামিয়ে দিবে। ৫ টাকা দিয়ে খেয়া অতিক্রম করে ওইপাড়ে গেলেই বারেক টিলা , যা থেকে সুন্দর পুরো জাদুকাটা নদী দেখা যায়। পাশেই সীমান্ত ,তাই উত্তর দিকে বেশীদূর না যাওয়াই ভাল। বারেক টিলা থেকে নেমে চায়ের দোকান আছে কিছু ,তাদের জিজ্ঞেস করলেই ছবির এই জায়গা ,শিমুল বাগান যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিবে। বিকেল পর্যন্ত হেটে হেটে ঘুরে ,ছবি তুলে আবার বারেক টিলার সামনে থেকে মোটরবাইক নিয়ে সুনামগঞ্জ ফেরত। সুনামগঞ্জ থেকে সরাসরি বাস আছে ,চাইলে রাতের বাসে করে ডিনার সেরে ঢাকা ফেরা সম্ভব, বা কম পয়সায় আসতে চাইলে ও আমার মত বাসে হালকা এলারজি থাকলে আবার সিলেট এসে ট্রেনে করেও ঢাকা ফেরা সম্ভব।

আর যাদের ট্রেনে যেতে আপত্তি তারা সরাসরি সুনামগঞ্জের বাসে যেতে ও আসতে পারেন। ভাড়া ৫০০ টাকা।

* একদিন ঘুরে যাদের পোষায় না ,তারা শিমুল বাগান ঘুরে আরেকটা মোটরবাইক নিয়ে তাহিরপুর উপজেলা চলে যেতে পারেন। সেখানে ডাক বাংলোতে অল্প খরচে থাকা যায়। যাবার পথে ট্যাকেরঘাট ,নীলাদ্রি লেক ও ঘুরে গেলেন। আবার তাহিরপুর রাতে থেকে ভোরবেলা মোটরবাইক বা ট্রলারে টাঙ্গুয়ার ভেতর পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারেন। এখন প্রচুর অতিথি পাখি আছে হাওড়ে। পানি কম থাকলেও পাখি দেখে মন ভরবে।

* তাহিরপুর বা হাওড়ের আশে পাশে এলাকার রেস্তোরাঁয় গিয়ে পাখি খাওয়ার লোভ দেখালেও খাবেন না। মনে রাখবেন ,আমরা না খেলেও কিন্ত তারা আর পাখি শিকার করবে না।বেচতে না পারলে তাদের আর মেরে লাভ কি?! " অতিথি পাখি শিকার বন্ধ কর" টাইপ মানববন্ধন করা থেকে এটা হাজার গুনে কার্যকর তরিকা। 
* হাওড়ের মানুষ খুব ই সাধারন, সাধারন ভাবেই তাদের সাথে মিশুন ,আখেরে লাভ আপনার ই! 
* চিপ্স/ বিস্কুট/চক্লেট এর প্যাকেট ,খালি পানির বোতল ফেলে আসবেন না প্লিজ, দোহাই লাগে। ব্যাগের একটা পকেটে রেখে দিন। শহরে এসে ফেলুন ,হাওড়ে না।

* একদিনের এই ট্রিপে এইভাবে ২ জন গিয়ে ঘুরে আসলে সময় লাগবে ২ রাত-১ দিন। খরচ হবে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা। ( ঢাকা সিলেট -যাওয়া আসা ট্রেনে)

সবার ভ্রমন আনন্দময় আর নিরাপদ হোক।

 

Leave a Comment